ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপখাওয়ানো এবং নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করে তোলার লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান পেশাদারিত্ব, মেধা ও সততা দিয়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আজ রাজধানীর ভূমি ভবনের সেমিনার কক্ষে ১৩৯তম সার্ভে ও সেটেলম্যান্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান, ২০২৪-২০২৫ এ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাইদুর রহমান।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ভুমি উপদেষ্টা বলেন, সার্ভে ও সেটেলম্যান্ট প্রশিক্ষণ হতে অর্জিত জ্ঞান চর্চা করতে হবে। এছাড়া এই প্রশিক্ষণে আরো কিছু ক্যাডার যুক্ত করা প্রয়োজন। এবং চাকরির শুরুতে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে কর্মক্ষেত্রে অধিক কল্যাণকর সেবা নিশ্চিত করতে পারবে নবীন কর্মকর্তাগণ। জনবান্ধব ভূমিসেবা দিতে ভূমি খাতে অবশ্যই সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, যুগে যুগে মানব সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিবর্তনের সাথে সাথে ভূমি ব্যবহারেও এসেছে নানা বৈচিত্র্য। ফলে সময়ে সময়ে এর রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ও সংস্কার সাধিত হচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে ভূমি, ভূমির ব্যবহার ও ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রায় প্রতিটি বিষয় এমন ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত যে এর একটি থেকে আর একটি আলাদা করা কঠিন।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় হবে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে মানুষের কল্যাণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া ভূমি আইন যারা করেছেন এবং যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের মনে রাখতে হবে মানুষের অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয়।
আলী ইমাম মজুমদার ১৩৯তম সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, চেয়ারম্যান (সচিব) ভূমি সংস্কার বোর্ড, এএসএম সালাউদ্দিন নাগরী, চেয়ারম্যান (সচিব) ভূমি আপীল বোর্ড, মোহাম্মদ ইবরাহিম-সহ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য দপ্তর সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য , প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। এই প্রশিক্ষণে প্রশাসন ক্যাডার, পুলিশ ক্যাডার, জুডিশিয়ারি ক্যাডার ও বন ক্যাডারের মোট ৬৩ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে নারী কর্মকর্তা ছিলেন ২২ জন।