বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিস্কার করেই বলেছি, ডিসেম্বরের যে ‘কাটঅফ টাইম’ এর মধ্যেই যদি দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
বৈঠকে নির্বাচনী রোডম্যাপ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচনের ডেটলাইন আমাদেরকে দেননি। আজকে তিনি আমাদের বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তিনি নির্বাচন শেষ করতে চান।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ যেটা আমরা বেশ কিছুকাল থেকেই বলে আসছি। সেই বিষয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টার) সাথে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা তাতে করে আমরা বিশ্বাস করি এখানে একটি দ্রুত ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।’
আপনারা জানেন, একই সঙ্গে চলমান যে সংস্কার কমিশনগুলো করা হয়েছে, যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলোতে আমরা সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছি। গত কয়েকদিন আগে সংস্কার কমিশনের কাছে আমাদের মতামতগুলো দিয়েছি। আগামীকাল আমাদের সঙ্গে বৈঠক আছে। ‘আমরা আবারও আপনাদের সামনে আসব দলের মধ্যে আলোচনা করে এবং আমাদের অন্যান্য মিত্র দলের সাথে আলোচনা করে করনীয় কি হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবো।’
ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে সেগুলো নিয়ে সব দল একসঙ্গে মিলে আমরা একটা সনদ করতে রাজি আছি। তারপরে আমরা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। এবং বাকি যেসব সংস্কারে আমরা একমত হবো সেটা অবশ্যই যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারা সেগুলো বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেবেন। এটাই ছিলো আমাদের (বিএনপির) মূল কথা।