আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর নিকট গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ ও কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এক মালিকের একাধিক সংবাদমাধ্যম না রাখা এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি আইনের সুপারিশ করা। বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের স্বায়ত্তশাসন, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রস্তাব, বিসিএস নবম গ্রেডের সমান বেতন-ভাতা সাংবাদিকতায় এন্ট্রিলেভেলে রাখতে বলা হয়েছে, টেলিভিশনের টিআরপির ও পত্রিকা ছাপা সংখ্যা বিষযেয় তদারকি, সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের তথ্য সংরক্ষণে আলাদা কমিশন গঠন।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যে সব এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার অতিদ্রুত কার্যকরের উদ্যোগ নেবে।সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যে সব এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ফেলতে চাই। সে জন্য আমি চাইবো সংস্কার কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় এমন সুপারিশগুলো তাড়াতাড়ি আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।’