নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্মিলিত সনাতনী সমাজ-বাংলাদেশ এর আয়জেনে ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশব্যাপী মন্দির, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ, খুলনায় উৎসব মন্ডলের ওপর বিচারবহিভূত হামলা এবং আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উত্থাপিত ৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দাবি তোলা হয় সমাবেশ থেকে। ৮ দাবির সমর্থনে আগামী এক মাসব্যাপী জেলা, উপজেলা, পাড়া-মহল্লায়
গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সম্মিলিত সনাতনী সমাজ-বাংলাদেশের অন্যতম মুখপত্র ও পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ‘আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমার মাটি আমার মা, এই দেশ আমরা ছাড়বো না’, ‘রক্তে আগুন লেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে’-স্লোগান স্লোগানে মুখরিত হয়েঠে পুরো এলাকা।
উপস্থাপিত আট দফা দাবিগুলো সমূহ- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রইব্যুনাল গঠন ও দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করা, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ করা, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটির ঘোষণা।