৫ দফা গণদাবী আদায়ে চট্টগ্রামে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের তিনটি গণভোটের দু’টিই বিএনপির আমলে হয়েছে এবং আলাদাভাবেই হয়েছে। ১৯৭৭ সালের ৩০ মে শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রেসিডেন্ট পদে হ্যাঁ, না ভোট আলাদাভাবেই হয়েছে এবং দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হয়েছে। ১৯৯১ সালের সাংবিধানিক গণভোটও আলাদাভাবেই হয়েছে। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী বিল-এর সম্মতি নেয়ার লক্ষ্যেই উক্ত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল যার মাধ্যমে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরে এসেছিল। এখন জাতীয় নির্বাচনের সাথে গণভোটের দাবি যারা করছেন তারা মূলত রাজনৈতিকভাবে ব্ল্যাকমেলিং করার অপচেষ্টা করছেন। জুলাই সনদের খসড়ায় পঁচিশটি দল স্বাক্ষর করে একটি জাতীয় সমঝোতা হয়েছে। অবিলম্বে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে এবং এভাবে জুলাই সনদের আইনি মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেই তার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে গণভোট আয়োজন সহ ৫ দফা গণদাবী আদায়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে উদ্যােগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট মোড়ে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন ইতোমধ্যেই গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে তা উঠে এসেছে। মিক্সড পিআর সিস্টেমে দল এবং প্রার্থী উভয়ের মর্যাদা রক্ষিত হবে। নমিনেশন বাণিজ্য, পেশিশক্তি, কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করা এবং পুনঃফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করতে পিআর সিস্টেমের কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, রিপেট্রিয়েশন চুক্তি বলে যেভাবে অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেয়া হয়েছিল সেভাবেই শেখ হাসিনাকে ফেরত এনে আইনে সোপর্দ করতে হবে। গুম-খুন-লুটেরা সহযোগিসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচারকে দৃশ্যমান করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর জাপা ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং প্রশাসনকে এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারির ও চট্টগ্রাম ২ ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের পরিচালনায় উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনর সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান, চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহাম্মদ শফিউল আলম প্রমুখ।

উক্ত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন, নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনর সহ সভাপতি মকবুল আহমদ, থানা আমীর ফারুকে আজম, এম এ গফুর, মাহবুবুর হাসান রুমী, সেলিম জামান প্রমুখ। উক্ত সমাবেশ শেষে বিশাল এক মিছিল বহদ্দারহাট মোড় থেকে শুরু হয়ে মুরাদপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

0Shares

নিউজ খুজুন