নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৫ মার্চ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৬ থেকে ১১ মাস বছর বয়সী ৯২ হাজার ৭২৭ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৯ জন শিশু। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এবারের ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থায়ী টিকা কেন্দ্র রয়েছে ১৭টি, ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র রয়েছে ১৫ টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে ৪ হাজার ৮০০টি।
আজ ১৩ মার্চ দুপুর ২টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেণ, স্বল্পসময়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আর তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে; সব শিশুকেই যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়, যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে, সেই সব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. নওশাদ খানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এফ এম জাহেদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া সহ সংশ্লিষ্টরা।
পাঠক সংখ্যাঃ ৪৬
0Shares