সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ছাড়া আলোকিত মানুষ হওয়া যায় না : পেয়ারুল ইসলাম

বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সঙ্গীত, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন আর্য সঙ্গীত সমিতি, সঙ্গীত ভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, অভ্যুদয়, স্বরলিপি সসংস্কৃতিক ফোরাম, উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী, চট্টগ্রাম জেলা সংসদ, অদিতি সঙ্গীত নিকেতন, একক সঙ্গীত নানা রঙের গান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ছাড়া আলোকিত মানুষ হওয়া যায় না। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে। বিশেষ করে, তাদের বই পড়া, গান, সংগীতের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। সংগীত, গান ও বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই তার আমলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে এবং সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা প্রত্যেকেই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করি। কিন্তু সবাই মনুষ্যত্ব অর্জন করতে পারি না। মনুষ্যত্ব অর্জনে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার কোনও বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতির সাথে সাথে সংস্কৃতির চর্চা ও মেলবন্ধন। সাংস্কৃতিক চর্চা করে দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বাঁচাতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি। সংগীত মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালোবাসা এবং অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরী করে। সংস্কৃতি সমৃদ্ধ রাজনীতি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে তাই দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে নিতে রাজনীতির সাথে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি।বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন ঘটেছে বর্তমান সরকারের সময়ে। এই উন্নয়নের নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালনা করা। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হলে আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই সংস্কৃতির চর্চা থাকতে হবে। সংগীত বিনোদনের মাধ্যম। দুঃখ বুঝারও একটি উৎস। সুপ্ত মনকে উদ্ভাসিত করার জন্য গান সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় গান ,সংগীত দিয়ে শিল্পীরা উদ্বুদ্ধ করেছেন জনগণকে। জীব যেমন পানি ছাড়া বাছতে পারেনা। সংগীত ছাড়াও মানুষ বাছতে পারে না। সংগীত মানুষকে মুক্তি দেয়। আমরা অমানবিক হয়ে যাচ্ছি
চাকচিক্যের দিকে ধাবিত হচ্ছি। রাজনৈতিক কারণে হচ্ছে না। যুদ্ধ বিগ্রহ প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছি। সংগীত ভুলে যাচ্ছি। ভাষা ভাষা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সংগীতের বিকল্প ছিল না। বর্তমান সংগীত শিল্পীরা অবহেলায় দিন কাটছে। আমি সর্বদাই তাদের সাথে আছি।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শ্রীমতি জয়ন্তী লালার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এড. ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, ইমরান মুহুরী, রিয়াজুর রহমান চৌধুরী।

0Shares

নিউজ খুজুন