লোহাগাড়া থেকে মোঃ ইউসুফঃ চট্টগ্রামে নিহত লোহাগাড়ার কৃতি সন্তান শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ বর্তমান প্রজন্মকে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে রাজপথের একজন অকুতোভয় আইনজীবী ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটি আইনজীবীর কাছে তিনি ছিলেন আত্মার আত্মীয়। ৭০ হাজার আইনজীবী পরিবারের সদস্য শহীদ আলিফকে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনীরা শহীদের পরিবারসহ দেশের বিবেকবান সকল মানুষকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। আমি এহেন নির্মম হত্যাকান্ডে খুবই শোকাহত এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও একই বেদনায় শোকাহত হয়ে পড়েছে। আমি উক্ত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং শহীদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমরা এ হক্যাকান্ডের সহিত জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে আইনগত যা-যা করণীয় তার সব ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। হত্যাকারীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদেরকে কোন অবস্থাতেই কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবেনা। আলিফ তাঁর পরিবারের যেমন গর্বিত সন্তান অনুরূপ একজন গর্বিত সদস্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের। তাই আলিফ’র পরিবারের স্বজন হিসেবে আমরা সব সময় তার পরিবারের পাশে থাকব।
৪ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর আনুমাণিক ২ টায় লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকায় শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ’র কবর জিয়ারত ও পরিবারের স্বজনদের সহিত সাক্ষাৎকালে অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ওই সময় তাঁর সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ.এম.মাহাবুব উদ্দীন খোকন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বার এসোসিয়শনের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দীন খান, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইনামুল হাছান, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আসহাব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। পরে শহীদের পরিবারের কাছে অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ৫ লাখ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিটির পক্ষ থেকে ৪ লাখ এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ব্যক্তিগতভাবে ২ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১১ লাখ টাকা হাস্তান্তর করেন।