শুকনো মৌসুমের মধ্যেই নালা-নর্দ্দমা প্রতিবন্ধকতা মুক্ত করা হবে : ভারপ্রাপ্ত মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন বলেছেন, শুকনো মৌসুমের মধ্যেই নরগীর ভরাট নালা-নর্দ্দমাগুলো থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন করে বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে পানি চলাচলের পথ থেকে সব ধরণের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ ৬ হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে তার আওতাধীন যে সকল খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো যাতে পানি চলাচলে অন্তরায় না হয় সে ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়াবে। তিনি আজ শনিবার সকালে চকবাজার ওয়ার্ডস্থ কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার ২নং রোডে পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন এবং জয় পাহাড় হাউজিং এস্টেটের অভ্যন্তরীন সড়কের চসিকের প্যাঁচ ওয়ার্ক কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন উল্লেখ করেন, মশক প্রজন নির্মূলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মশক নিধনে ছিটানো ওষুধের গুণগতমান সম্পর্কে যে সন্দেহ ও প্রশ্ন রয়েছে তা নিরসণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিট বিশেষজ্ঞ টিমের প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিতে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়াও পরিচ্ছন্ন বিভাগের ৬টি জোনে মশক নিধনে আলাদা একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম ইতোমধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন-চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি সৈয়দ খুরশিদ আলম, সাধারণ সম্পাদ মো. হাসিম উদ্দীন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ ।

0Shares

নিউজ খুজুন