শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ‘আমি এমন শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।’
উপদেষ্টা আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি মানবাধিকার, শ্রম অভিবাসন এবং রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সংস্থায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও সচেতনতার সাথে কাজ করেছি। প্রধান উপদেষ্টা আমাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন। আমি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভাবি- যা হবে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জন তথা আত্ম উন্নয়নের উপযুক্ত পথ, যা হবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিভিত্তিক উৎকর্ষে সহায়ক এবং যা হবে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক তৈরির উপায়।
সভায় বিদায়ী উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বিদায়ী বক্তব্যে ২০১২ সালের কারিকুলামে বই ছাপানো ও বিতরণ করা, বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক পদায়ন, ইএফটিতে শিক্ষকদের বেতন প্রদান, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি, শিক্ষকদের কল্যাণ ও পেনশনের অর্থ প্রদানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন।