বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ;পেশাগত আচরণ ও শিষ্ঠাচার বিধিমালা : ১৯৬৫ সালের আইনজীবী ও বার কাউন্সিল আইনের ৪৮(কিউ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারীতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কতৃক প্রনীত[দ্রষ্টব্য অনুচ্ছেদ ৪৪(জি)
* যেহেতু আইনের শাসন হইতেছে সভ্য সমাজের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য এবং আদর্শ বিচার ব্যবস্হা নিশ্চিত করণের পূর্বশর্ত;
* যেহেতু উক্তরূপ সমাজ সকল নাগরিকে আইনের আশ্রয় লাভের সমান অধিকার নিশ্চিত করে এবং তাহাদের জান মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা বিধান করে
* যেহেতু নাগরিকদের উক্তরূপ নিরাপত্তা বিধানের অপরিহার্য শর্ত হইতেছে সমাজে এমন আইনজীবী অবস্থান যাঁহারা হইবেন আইন শাস্ত্রে পারদর্শী, স্বীয় সততার জন্য সকলের আস্হাভাজন,জনসেবায় উদ্বুদ্ধ,আইনের শাসন সমুন্নত রাখিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং ভয়ভীতি ও আনুকুল্যের ঊর্ধ্বে থাকিয়া নাগরিক অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার
* যেহেতু জনগণের প্রত্যাশা এই যে,আইনজীবীগণ তাহাদের কর্ম প্রচেষ্টার মাধ্যমে এমন একটি অবস্থা ও সংরক্ষণ করিবেন যাহাতে আইনানুগভাবে গঠিত একটি সরকার সকল নাগরিকের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক
ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করিতে পারে।
*যেহেতু আইনজীবীদেরকে স্বীয় পেশার সদস্য, মক্কেল, আদালত এবং জনসাধারণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পেশাগত আচরণবিধি অবশ্যই মানিয়া চলিত হইবে।
* যেহেতু বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পেশাগত আচরণ ও শিষ্ঠাচার বিধিমালা প্রনয়ন করিয়াছেন।
*প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নিম্মোক্ত পেশাগত আচরণ ও শিষ্ঠাচার বিধিমালা অনুমোদন করিলেন যাহা আইনজীবীদের পারস্পরিক আচরণ, মক্কেলের প্রতি আচরণ, আদালতের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং জনসাধারণের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে সকল আইনজীবীর মানিয়া চলা একান্ত অপরিহার্য।
চলমান—-+
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা-১৯৭২।
অধ্যায়-১।
আইনজীবীদের পারস্পরিক আচরণ।
লেখক : এডভোকেট আবুল হাশেম
ডেপুটি এর্টনি জেনারেল, বাংলাদেশ