আগস্ট মাসের ৫ তারিখ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান। আজ ৫ সেপ্টেম্বর ১ মাস পূর্ণ হল গণঅভ্যুত্থানের। বিজয়ের এক মাস পুর্তিতে সারা দেশে “শহীদি মার্চ” কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। উক্ত কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় লোহাগাড়ায় ও দিবসটি পালন করেন ছাত্র-জনতা। এই উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী এইচ.এম তামিম মির্জা’র নেতৃত্বে এক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি উপজেলা সদর বতটলী মোটর ষ্টেশন চত্বর থেকে বের হয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে শেষ হয়। উক্ত “শহীদি মার্চ” উদযাপনের র্যালীতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল নোমান, সুজন সাকিব, রাকিবুল হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। র্যালী শেষে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এইচ.এম.তামিম মির্জা তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতার রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ “শহীদি মার্চ”। স্বৈরচারী সরকারের দোসরেরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে এ দেশের ছাত্র-জনতা কোন ছাড় দেবেন না। প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা এক হয়ে ওই সব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তাই বাংলার এ সব দামাল ছেলেরা তাদেরকে সমূলে বিনাশ করতে পুণরায় রাজপথ ও জনপদে নামবেন, তখন তারা পালাবার ও সুযোগ পাবেনা। তিনি আরো বলেন , বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বৈরচারমুক্ত করা হয়েছে গরীব-দুঃখী ও মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। ছাত্র-জনতার এই রঙিন স্বপ্ন কখনো ম্লান হতে দেবেননা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সমাবেশ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।