লোহাগাড়া থেকে মোঃ ইউসুফ : জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে জালিমের জুলুম থেকে মুক্ত করেছেন। এই আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে মহান আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুক। আর যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের সুস্থতায় মহান আল্লাহ পাক রহমত দান করুক। তাঁদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করুক। তাঁদের এই ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনসাফের ভিত্তিতে সমাজ-রাষ্ট্র পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ।
২১ আগস্ট দুপুরে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের দর্জিপাড়ায় কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ ইশমামুল হক’র কবর জিয়ারত করতে এসে উপস্থিত হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
জামায়াত অধ্যুষিত সংসদীয় আসন হিসেবে পরিচিত লোহাগাড়ায় আমীরে জামায়াত আসছেন এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার উৎসুক জনতা তাঁকে বরণ করে নিতে রাস্তায় নেমে আসেন।
ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জোনের টিম মেম্বার অধ্যাপক জাফর সাদেক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর এডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, বান্দরবান জেলা আমির এস এম আবদুস সালাম আজাদ, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম মোঃ নোমান, আমিরাবাদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নায়েবে আমীর কাজী মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী, বড়হাতিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী, চুনতি মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুল হক প্রমুখ।
আমীরে জামায়াত শহীদ ইশমাম বাড়িতে গিয়ে তার মা ও ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদেরকে শান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘মহান আল্লাহ ইশমামকে শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন এটা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা কেউ এই পৃথিবীতে চিরদিন থাকার জন্য আসিনি। আমাদের সবাইকে একদিন আখিরাতে চলে যেতে হবে। কেউ আগে, কেউ পরে।’এ বিষয়টি সকল মুসলিমকে বিশ্বাস করে চলতে হবে।