গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এর সাথে ২০ মে বঙ্গবভনে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেনআন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বিওটি সদস্য ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমেদ চৌধুরী, বিওটিসদস্য ও ফিমেল একাডেমিক জোনের চেয়ারম্যান মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী, বিওটিসদস্য ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, আইআইইউসির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মছরুরুল মওলা, রেজিস্ট্রার আ ফ ম আখতারুজ্জামান কায়সার।
এসময় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব ও প্রেস সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আইআইইউসি প্রতিনিধি দল চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান। মহামান্য রাষ্ট্রপতি উক্ত সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়ানোর কথা বলেন।
আইআইইউসি প্রতিনিধি দল বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও অবকাঠামোগত সার্বিক উন্নয়ন সমূহের কথা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। তারা বলেন বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্বে আইআইইউসিতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টারের তত্ত্বাবধানে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের লেখা বই বাংলা, ইংরেজী ও আরবী তিন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে; বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইআইইউসিতে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হল নির্মাণ করা হয়েছে। নির্যাতিত ৫০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধাসহ সম্পুর্ন বিনা বেতনে পড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আইআইইউসির সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। আইআইইউসির মেধাবী শিক্ষার্থীরা ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আইআইইউসির গ্র্যাজুয়েটরা দেশে-বিদেশে উদ্যোক্তা হিসেবে ও বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে কাজ করছে। ভারত সরকারের অর্থায়নে আইআইইউসিতে মওলানা আবুল কালাম আজাদ স্পোর্টস সেন্টার নির্মান করা হচ্ছে। আইআইইউসি ক্যাম্পাসের সংযোগ সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়ক সমূহ পিচ ঢালা সড়কে রুপান্তর করা হয়েছে।
আইআইইউসির সার্বিক কার্যক্রম সম্বন্ধে অবগত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।