জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নূন্যতম সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। ‘এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে আমরা তা-তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কার, সেটা করে নির্বাচনটা করলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান হবে।’
আমার বিশ্বাস, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি খুব শিগগিরই এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদেরকে ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।’ যে কোনো নির্বাচিত সরকার কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে অনেক ভালো। কারণ, নির্বাচিত সরকারের কাছে আমার-আপনার সকলের অ্যাকসেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি..এখন আমার সেই জায়গাটা নেই।’
আমরা নির্বাচনের কথা এজন্য তাড়াতাড়ি বলি যে, নির্বাচন হলে দেশের সমস্যাগুলো চলে যাবে। কারণ, নির্বাচিত সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় বসে। কিন্তু এরা (অন্তর্বর্তী সরকার) তো সেভাবে বসতে পারেনি, এদের মধ্যে সেই কনফিডেন্সও নেই। সবার আগে জনগণের ভাষাটা তো বুঝতে হবে, আর সেটা একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বুঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ‘শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্মাদনা চলছে। এটার ব্যাপারে কেউ দৃষ্টিও দিচ্ছে না, কথাও বলছে না। মান-সম্মত শিক্ষার ব্যাপারে কার্যত কোনো চেষ্টা করা হচ্ছে না।’ আমাদের দেশের অনেক সমস্যা। তবে,লেখাপড়াটা একেবারে শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা এবং শিক্ষাব্যবস্থা এটা একদম শেষ, এটার মধ্যে কিছু অবশিষ্ট আছে বলে আমার মনে হয় না। আপনি প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করেন, একেবারে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সব জায়গায় দেখবেন যে- মান এতো নীচে চলে গেছে তা বলে বুঝানো যাবে না।’ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার হওয়া দরকার বলেও তিনি মনে করেন।