পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলসহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না। তিনি বলেন, ময়লার ভাগাড় ও আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর মাতুয়াইলে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এলাকা পরিদর্শন শেষে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
এই ময়লার ভাগাড় মাতুয়াইল থেকে অচিরেই পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পার্শ্ববর্তী দুটি স্টিলমিল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে। এছাড়া, ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসা আলাদা করা যাবে না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যাটারি কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা আরো বলেন, ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ একটি স্বাস্থ্যঝুঁকির রূপ নিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনাও দেন তিনি। তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং নিয়ম ভাঙলে জরিমানার কার্যকর প্রয়োগ করা হবে।
উপদেষ্টা আজ পর্যায়ক্রমে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল, যাত্রাবাড়ীর সামাদনগর, নরসিংদী রোড, চিটাগং রোড, কাঁচপুর, যাত্রাবাড়ী, শরীফপাড়াসহ ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বায়ুদূষণ প্রবণ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। স্থানীয় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগাড়) দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার এবং ময়লা পোড়ানো বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। এসময় স্থানীয়রা দূষণের কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কথা জানান।
পরিদর্শনকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ শাহজাহান মিয়া, পরিবেশ মন্ত্রণালয় উপসচিব (পরিবেশ) রুবিনা ফেরদৌসী, বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক আরএসএম মুনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।