মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়ানোই মানবতার মূল শিক্ষা

বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দরিদ্র মানুষ বস্ত্র কেনার সামর্থ্য হারাচ্ছে, তখন কৃষক, দিনমজুর ও নিম্নবৃত্ত পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিধেয় কাপড় বিতরণ করে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকল গ্রামে বাহাদুর খান চৌধুরী বাড়ি প্রাঙ্গণে সকল শ্রেণির মানুষদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিধেয় কাপড় বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্বৈরাচার পতন আন্দোলন এ রাজপথের সৈনিক জননেতা আলহাজ্ব মাওলানা মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে বস্ত্র একটি অপরিহার্য উপাদান। আজকের এই উদ্যোগ শুধু কাপড় বিতরণ নয়, এটি মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও মানবিকতার প্রতীক। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য একটি জামা কিংবা শাড়ি কেনা এখন অনেক সময় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সমাজের সচ্ছল মানুষদের উচিত, এই দুর্দিনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি আরও বলেন, গ্রামের কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালক কিংবা হতদরিদ্র পরিবারগুলোই আমাদের সমাজের অমূল্য অংশ। তাঁদের ঘামের বিনিময়ে দেশ চলে, অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। তাই আমাদের এই ছোট প্রয়াস হয়তো তাঁদের মুখে একটু হাসি ফুটাতে পারবে—এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।” অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে নতুন ও ব্যবহারযোগ্য পরিধেয় কাপড় বিতরণ করা হয়।

আগামী ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন দেশের সকল দল মত নির্বিশেষে সার্বজনীন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি উপস্থিত সকলকে জাতীয় প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান এবং বিএনপি কতৃর্ক যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে এবং তার সাথে দেশ ও সমাজ উন্নয়নের কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সভায় অন্যন্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলার ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফেজ মাওলানা মোঃ ফোরকান, ওলামা দল মাওলানা আবদুল হামিদ, ওলামা দল মাওলানা আবদুল গফুর, মাওলানা শোয়াইব, আলহাজ্ব জাফর উল্লাহ খান চৌধুরী, জাতীয়তাবদী ওলামাদলের মহানগর নেতা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা নুর মোহাম্মদ, মাওলানা মিশকাত, কাজী সিরাজ প্রমুখ। শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বক্তারা বলেন, এটি এককালীন নয়; ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে। আমাদের লক্ষ্য, সমাজের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফুটানো এবং মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সহযোগিতা করা। সমাজে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই দারিদ্র্যমুক্ত, মানবিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

0Shares

নিউজ খুজুন