মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ২৬শে মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে চট্টগ্রামের কাট্টলী ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে  দিবসের কর্মসূচি সূচিত হয়। এরসাথে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সকল সরকারি, আধাসরকারি,স্বায়ত্তশাসন ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন । পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার,  চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন, মক্তিযোদ্ধাদের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর পর বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিটি মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। সকল শ্রেণির নাগরিকদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সে স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। এসময় তিনি একাত্তর ও চব্বিশ নিয়ে বির্তকের কথা উল্লেখ করেন বলেন, ১৯৭১ এবং ২০২৪ নিয়ে কোন প্রকার বির্তকের যাওয়া উচিত হবে না। একটিকে দিয়ে অন্যটি ঢেকে দেওয়া যাবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ২০২৪ এবং ১৯৭১ একি সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে অধিকার আদায়ের জন্য, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালেও অধিকার আদায়ের জন্যই হাজারের উপর ছাত্রজনতা রক্ত দিয়েছে। সুতরাং আমরা ৭১ কে ভুলবো না, একাত্তরের চেতনা নিয়ে আমরা ২০২৪ কে নেতৃত্ব দিবো।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, স্বাধীনতা দিবস মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঈদের মতো আনন্দের। আমাদের আশা আকাক্সক্ষা যদি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হতো আরো বেশি খুশি হতাম। আমরা বার বার দেখেছি মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও এর সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু ব্যর্থতার জন্য, যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ,আগামীতে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

0Shares

নিউজ খুজুন