ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব : ভূমি উপদেষ্টা

ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া নাগরিক দায়িত্ব। রাষ্ট্রপরিচালনার অন্যতম উৎস হচ্ছে কর। ভূমি উন্নয়ন কর বাংলাদেশ রাজস্ব খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই কর যথাসময়ে নির্ধারণ ও আদায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।

আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংস্থার কর আদায় বিষয়ক কর্মশালায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় ১৬টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।

উপদেষ্টা বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান এখন আগের মতো কোনো বিড়ম্বনা নয়। যে কেউ যে কোনো স্থান  থেকে অনলাইনে এ কর প্রদান করতে পারছেন। আমাদের মানুষিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা হলো জমি ব্যবহারের বিপরীতে সরকারের নিকট বাৎসরিক প্রদেয় কর। ২৫ বিঘার উর্ধ্বে কোনো কৃষি জমি বা যে কোনো পরিমাণ অকৃষি জমি (আবাসিক বা বাণিজ্যিক) থাকলে এর মালিককে সরকারের নিকট নির্ধারিত হারে প্রতি বৎসর এ কর প্রদান করতে হয়। অন্যান্য করের মতো এটিও  সরকারের একটি বাৎসরিক পাওনা এবং খাজনার রশিদ (দাখিল) মালিকানার একটি গুরুত¦পূর্ণ প্রমাণপত্র, যা আদালতেও গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী  ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে  এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ভূমি উন্নয়ন করের দাবি  ৮২৯ দশমিক ৬২ কোটি টাকা; এর মধ্যে বকেয়া ৬৭৯ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা; হাল ১৪৯ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা এবং মোট আদায় ১৪৪ দশমিক ১৩ কোটি টাকা হয়েছে। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে আদায় ৩৪ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরি। আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মোঃ সাইদুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

0Shares

নিউজ খুজুন