“ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন”, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম সিটির বক্সিরহাট, ফিরিঙ্গিবাজার ও পাথরঘাটা ওয়ার্ডে এবং কক্সবাজার সদর ও উখিয়া উপজেলায় ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম(বিবিএফ) এর আয়োজনে মোট ৪০ টি মৎস্যজীবী নারী স্ব-সহায়ক সংগঠনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মৎস্যজীবী নারীদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষত্রে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করায় আইনী পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে সহায়ক হয়েছে বলে সভায় অংশগ্রহণকারী নারীরা জানান। উল্লেখ্য, উন্নয়ন সংগঠন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং কক্সবাজার পৌরসভা ও উখিয়া উপজেলায় অক্সফাম-বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ”এমপাওয়ারম্যান্ট অব ফিশারউইমেন ইন কোস্টাল চিটাগং এন্ড কক্সবাজার-ইএফসিসিসি” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মৎস্যজীবী নারীদের নিয়ে ৪০টি স্ব-সহায়ক দলের ১০০০জন মৎস্যজীবী নারী নিজেদের জীবন-জীবিকা, বৈষম্য হ্রাস, আইনী ও স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়ায় আছে। তাদের পেশাগুলি হল মাছ বিক্রি, ছোটমাছগুলি বাছাই, মাছকাটা, আইশ শুকানো, শুটকি বানানো, মাছের আঁইশের বিভিন্ন প্রসেসিং, মাছকে বরফজাত করা, নাপ্পি বানানো, মাছের আড়তে চাকরি ইত্যাদি। প্রতিমাসে দলগুলি নিজেদের নিয়মিত বৈঠকে মৎস্যজীবী নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দলগুলি তাদের নিয়মিত মাসিক সভায় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা করেন। আলোচনা সভায় দিবসের প্রতিপাদ্যের উপর ধারনা দেন বিবিএফ কর্মকর্তা সোহাইল উদ দোজা ও মাহফুজুর রহমান। আলোচনায় মৎস্যজীবী নারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছবি দাশ, উষা দাশ, জয়া দাশ, সালমা আকতার ও রহিমা বেগম এবং সেশনগুলো সঞ্চালনা করেন সহায়ক তাসনুভা পারভীন, চার্লস আলেক্সান্ডার, তাজমিন জাহান ও আবদুল্লাহ আল মামুন।