বিএনপি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী না : আমীর খসরু

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আজ ২২ মার্চ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন ।

আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি পক্ষ এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের কোনও আদর্শ নেই। তারা নতুন নতুন বয়ান বাজারে ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের প্রত্যেক স্তরের নেতাকর্মী জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সুতরাং বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসা কিংবা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তবে আমরা চাই শেখ হাসিনাসহ যারা অপরাধে জড়িত তাদের বিচার হোক। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অতিদ্রুত দৃশ্যমান বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। বিএনপি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী না। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। আমরা প্রত্যেকটা দিন গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া অতিবাহিত করছি। তাই নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠামাত্র বহিষ্কার করা হচ্ছে। পরে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২ হাজারের কাছাকাছি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা পত্রিকা বা যেকোনোভাবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটি উদাহরণ হয়ে থাকছে। অভিযোগ পেলে প্রথমেই কোনোরকম তদন্ত ছাড়া বহিষ্কার করা হচ্ছে। অপরাধের প্রমাণ না পাওয়া গেলে দলে ফেরানো হচ্ছে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা অপরাধে জড়িত, তারা যে দলেরই হোক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে দলমত বিবেচনা করার দরকার নেই। আমরা নিজেরা সরকারে থাকলেও এটাই করতাম।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের জেল-জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। আমার সামনে জেল খানায় বিনা চিকিৎসায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ৬০ থেকে ৭০ লাখ নেতাকর্মীরা মামলার আসামি হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার বাহক হলো নির্বাচন। পরিবর্তন আনার জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পন্থা নেই। নির্বাচনের দিনক্ষণ সামনে আসতে হবে। দেশের সকল মানুষ নির্বাচনের প্রস্তুত। পুলিশ, প্রশাসন জনগণের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে নির্বাচন সফল করতে হবে।

 

0Shares

নিউজ খুজুন