বিএনপির ৩২ জেলায় সমাবেশের তারিখ পুনর্র্নিধারণ করবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্দ্ধগতির পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২ জেলায় দলের নির্ধারিত সভা-সমাবেশ না করে তারিখ পুনর্র্নিধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি- যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেই বিধিনিষেধ অযৌক্তিক ও অকার্যকর। কিন্তু তারপরও জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের এই সমাবেশগুলোর তারিখ পুনর্র্নিধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিএনপি ও অঙ্গ দলসমূহের সব কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতাদেরকে সভা-সমাবেশের পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেব। সভা-সমাবেশ করার জন্য তাদেরকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানাচ্ছি। তবে পুনর্র্নিধারিত তারিখ কবে হবে তা জানানো হয়নি সংবাদ সম্মেলনে। বিএনপি সভা-সমাবেশ স্থগিত করল কিনা এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বলেছি যে, আমরা তারিখটা পুনর্র্নিধারণ করেছি। আমরা স্থগিত বলিনি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে পারে, হাটবাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ সব খোলা থাকতে পারে কিন্তু সভা-সমাবেশ হতে পারবে না। অথচ বিশেষষজ্ঞরা বলছেন যে, উন্মুক্ত স্থানে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম, বদ্ধ স্থানে বেশি। সেখানে সরকার বদ্ধ স্থানে অনুমতি দেয়, উন্মুক্ত স্থানে দেয় না।
সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে ১১ দফা একটা সরকারি নির্দেশনা আছে। অপরদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আরো আরো অনেক কাজ উন্মুক্ত আছে। সরকারের বিধিনিষেধের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক। এই মুহুর্ত পর্যন্ত সরকার নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেনি যে, সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এটা স্থগিত করার। সুতরাং এটা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই ব্যাপারে সন্দেহ থাকার আর কোনো কারণ নাই। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ১১টি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তাতে উন্মুক্ত স্থানে যে কোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এদিকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতির দাবিতে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৪০ জেলায় গত ৮ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে ৮টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২৩ জেলায় সমাবেশ করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

0Shares

নিউজ খুজুন