নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি দেশের বড় সম্পদ। মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অনেকটা আসে মেরিটাইম (সামুদ্রিক) সেক্টর থেকে। মেরিন ক্যাডেট ও নাবিকরা দেশি-বিদেশি জাহাজে চাকরি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন, যা আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের রয়েছে।’ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষিত।
আজ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের প্যারেড পরিদর্শনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ক্যাডেটদের একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলাম শিক্ষায় তথা শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার সাথে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার উপর জোর দেন।
এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির প্রকল্পের চলমান কাজ এবং সিমুলেটর পরিদর্শন করেন। এ সময় উপদেষ্টা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সভায় একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট মোঃ ইবনে কায়সার তৈমুর একাডেমির সার্বিক কার্যক্রম, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং করর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক, নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদসহ একাডেমির কর্মকর্তারা ।