বাঁশখালীতে মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনটি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আরেক গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর রাজপথে এই আসনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
তবে সকল ক্ষেত্র এই আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলেই হেভিওয়েট হওয়ায় বড় চ্যালেঞ্জ। অতীত ও বর্তমানে দলীয় কাজে অংশগ্রহণ ও কর্মকান্ড কাজে লাগিয়ে মনোনয়ন ভাগিয়ে নেওয়ার জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম -১৬ বাঁশখালী আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এই তিন হেভিওয়েট এর মধ্যে চলছে শেষ মূহুর্তের মনোনয়ন প্রতিযোগিতা। বাঁশখালীর সাধারণ জনগণও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে এর জন্য।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে আসন গঠিত।  নির্বাচনী পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই আসনে প্রার্থীরা মূলত বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, স্থানীয় জনপ্রিয় নেতা এবং পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে উঠে আসছে প্রধান প্রধান সম্ভাব্য প্রার্থীরা, এডভোকেট আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা। মাঠ পর্যায় জরিপে নেতাদের  অবস্থান
এডভোকেট আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী আলোচনায় আছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও  সম্পাদক এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন।  তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিগত সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন, মিছিল, অবরোধ ও সমাবেশে সরাসরি মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একাধিকবার পুলিশি হামলা ও মামলার শিকার হয়ে দলীয় কার্যক্রম থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানে প্রতিনিয়ত বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক,  সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চষে বেড়াছেন।
লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান
মনোনয়ন দৌড়ে আরেক প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী। তিনি পুলিশের বিভিন্ন মামলায় নির্যাতনের পাশাপাশি বিগত সরকারের মামলায় কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্য ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে একটি অবস্থান তৈরি করেছেন।
মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা
বাঁশখালীতে মনোনয়ন মাঠে বিএনপি সরকারের সাবেক বনও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মরহুম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর কনিষ্ঠ সন্তান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা। রাজনৈতিক পরিবারিক পটভূমি নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি বর্তমানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনে কাজে ভূমিকা রাখছে। আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের ও অন্যায় ভাবে জেল জুলুমের শিকার হওয়া তাদের পরিবারকে নানাভাবে সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক অবকাঠামোর পরিবর্তন কাজ করার চেষ্টা চলমান রেখেছে।
এছাড়াও বাঁশখালী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী শহীদ ও আহত এবং জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। ত্যাগী, পরীক্ষিত ও বাঁশবাসীর উন্নয়নে কাজ করবে এমন যোগ্য ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন করলে দলীয় সকলেই একযোগে তার পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি করে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই বাঁশখালী আসন উপহার দিতে মাঠে থাকবে।
0Shares

নিউজ খুজুন