মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক জানান, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে, এটি গ্লানিকর। তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধপরিকর; সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। তবে আদালতে মামলা থাকায় আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আদালতে প্রায় ২ হাজার ৭০০’র অধিক মামলা রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
উপদেষ্টা আজ ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গার্ড অব অনার শেষে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠনের শুরুতে এর নাম ছিল প্রবাসী সরকার, পরবর্তীতে মুজিবনগর সরকার হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। এটা আমাদের বাস্তব ইতিহাস। এই সরকারের শপথগ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় যা চিরকাল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে স্মরণ রাখা উচিত। বর্তমান সরকার মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনে অনিচ্ছুক। কারণ ইতিহাস কখনো মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়।
মুজিবনগর আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, দ্রুত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। পরে তিনি মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স ও আম্রকাননের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার হুসাইন শওকত, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গার্ড অব অনার প্রদানকারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা দুজন আনসার সদস্য সিরাজ উদ্দিন ও আজিমউদ্দিনকে উপহার ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।