চট্টগ্রামে দুইশতাধিক তরুনদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে ‘সকলের জন্য পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য’ বিষয়ক ফিউচার জেনারেশন সামিট। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), কানাডা সরকার এবং কিংডম অফ নেদারল্যান্ডস-এর সাথে সম্পৃক্ততায় এবং স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার সার্বিক কারিগরী সহযোগিতায় আজ ৪মে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করে ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিস (ভিএসও)। অনুষ্ঠানে পেশাগত ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত অবস্থার উপর দৃষ্টিপাত করে একটি কার্যকারী ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। চট্টগ্রাম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যুব স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে বক্তারা কর্মীদের স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি। ইপসা প্লাস্টিক ওয়েস্ট মেনেজমেন্ট প্রকল্পের সহকারী মনিটরিং অফিসার সেতার রুদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুল হালিম, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. মোকশেদুল আলম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের শ্রম পরিদর্শক টিপু সুলতান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সেলিম রেজা, ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী, ইপসার হেড অব এডভোকেসী মোহাম্মদ আলী শাহিন, ইপসা সেন্টার ফর ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের সমন্বছক আফরা নাওয়ার রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানের ইপসা’র ইয়ুথ ফোকাল আবদুস সবুর ও বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে যুব স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এছাড়া অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কর্মপরিবেশে ঝুঁকির জন্য আমরা অনেক মৃত্যু দেখেছি। দেশের যুবকরা এই বিষয়ে সচেতন হলে এবং বিষয়টি নিয়ে কাজ করলে এই ক্ষতি প্রতিহত করা সম্বব। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। সেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌছাতে যুবকদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ আমরা এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে আছি। আমাদের যুবকরাই দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যুবরা এইক্ষেত্রে বিস্তর ভূমিকা রাখতে পারে।