গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে “সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের গুরুত্ব এবং গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা”শীর্ষক মতবিনিময় সভা কাপ্তাই উপজেলার সম্মেলন কক্ষে আজ অনুষ্ঠিত হয়। কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায়, পিআইডি চট্টগ্রাম এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি- এ তিন উপজেলার সংবাদকর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন
পিআইডি চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. সাঈদ হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দ্রঘোণা খ্রিস্টান মিশন হসপিটালের পরিচালক ড. প্রবীর খেয়াং, উপজেলার হেডম্যান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থোয়াইঅং মারমা, উপজেলা সহকারী তথ্য অফিসার দেলোয়ার হোসেন , উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা পলাশ ঘোষ , উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম পিআইডির সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী। সভা সঞ্চালনা করেন তথ্য অফিসার জি. এম সাইফুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমান সময়ে গুজব ও মিথ্যা নিউজ বা ফেইক নিউজ সমাজে অনেক ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুজবের কারনে সমাজের অনেকে বিভ্রান্ত হন, না জেনে শুনে কোন বিষয় বিশ্বাস করে থাকেন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করেন। এতে করে সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, মানুষ আতংকে ভুগতে থাকে। তাই গুজবের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের আরো সচেতন থাকতে হবে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিশেষ করে তথ্য অধিদফতর গুজব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে ।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক কাজী মোশাররফ হোসেন, মো.কবির হোসেন, ঝুলন দত্ত ,মাহফুজ আলম ,আলমগীর কবির ,অর্নব মল্লিক, আইয়ুব চৌধুরী ,হাবীবুল্লাহ মিসবাহ , ,মিন্টু কান্তি নাথ প্রমূখ।
বক্তাগণ সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া, তরুন ও মেধাবীদের সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ত করা, সাংবাদিকতায় শৃংখলা ফিরিয়ে আনা প্রভৃতি বিষয়ের উপর জোর দেন। তারা বলেন, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মফস্বল সাংবাদিকদের পিআইডির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, দেশের উন্নয়নে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা গণমাধ্যম হতে গ্রহণ করি এরং সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। গুজব ও মিথ্যা নিউজ প্রতিরোধে তিনি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে তথ্য অফিসার, সাংবাদিক গ্রুপ, অনলাইন এক্টিভিস্ট, স্থানীয় পেইজের সমন্বয়ে গুজব প্রতিরোধ কমিটি গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সমাজ ও দেশ গঠনে গণমাধ্যম কর্মীরা যদি বস্তুনিষ্ঠ ও ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করেন, তাহলে দেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তৃতায় উপপ্রধান তথ্য অফিসার বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে নির্ভুল ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করতে হয়, যা জনগণকে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করে এবং সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সঠিক তথ্য ও সংবাদের মাধ্যমে সমাজে যে কোনো ধরনের উত্তেজনা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য তিনি উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের আহ্বান জানান।
পাঠক সংখ্যাঃ ৬৬
0Shares