নারী শিক্ষার উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান অগ্রগণ্য : এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম

হাটহাজারী প্রতিনিধি : উত্তর চট্টলার সুপরিচিত নারী বিদ্যাপীঠ কাটিরহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেযারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বিরামহীন কাজ করছে। বাংলাদেশে নারী শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অগ্রগণ্য। তা ছাড়া নারীদের মানবসম্পদে পরিণত করতেও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাহাড়, হাওড়সহ বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে মহিলা কলেজ, বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দুর্গম, চরাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিয়ে এ অঞ্চলগুলোতে শতভাগ শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে এবং প্রতিটি বিভাগীয় সদরে একটি করে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। তার সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষাকে বহুমাত্রিক করতে কাজ করছে। শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষার মান উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকের বুলেটে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একটি যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি করেছেন। ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য সরকার প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে। সেসব ভবনে সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে। ফলে, শিক্ষার্থীরা সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র সব সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কল্যাণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত ও সম্মৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব প্রদানের জন্য অভিভাবকদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কলেজের পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়িতে পড়ালেখা করছে কিনা সে দিকে নজর দিতে হবে। কাটিরহাট মহিলা কলেজের মেধাবী সন্তানেরা সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে কর্মরত। যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে প্রত্যেকটি গ্রামেগঞ্জে নতুন ভবন নির্মাণ ও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সরকারিকরণের আওতায় এনে শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে। শিক্ষিত জাতিই পারে সমাজ ও সভ্যতাকে উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যাতে তারা আদর্শ শিক্ষা গ্রহণ করে আগামী দিনে নেতৃত্বদানের উপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণ নাথের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলম শওকত, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য জনাব শাহনেওয়াজ হোসেন চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এইচ এম আলী আবরাহা দুলাল, এস এম খালেদ বাবলু,রাইসুল ইসলাম চৌধুরী এমিল, সাবেক চেযারম্যান হারুনুর রশীদ, শেখ মাহমুদুর রহমান কাঞ্চু।

0Shares

নিউজ খুজুন