নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নবীনগর করিম শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া এর বিরুদ্ধে আর্থিক নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নবীনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোঃ মাসুদ মিয়া সহ অন্যান্য সচেতন অভিভাবকগণ। অভিযোগে বলা হয়েছে,করিমশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া নিজের প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক অপকর্ম করে, সরকারি স্কুলে ভর্তির সময় কোন প্রকার টাকা না লাগলেও শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের নিকট টাকা গ্রহণ এবং টিসি প্রদানের ক্ষেত্রেও টাকা গ্রহণ করা হয়।
অভিযোগকারী অভিভাবকদের ভাষ্য মতে, নবীনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্তের সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ পরিচালক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নবীনগর করিমশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়ার সরকারী কর্মচারী বিধিমালা (শৃঙ্খলা ও আপীল) ২০১৮ এর ধারা মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছিল কিন্তু তিনি শুধু ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষিতে পার পেয়ে যায় বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভের সাথে জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ বা বদলি না হলে সকল সচেতন অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে ভবিষ্যতে আন্দোলনে নামবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত এমন স্থানে এহেন আচরণ বা দুর্নীতি হলে আমাদের কোমলমতি শিশুরা কি জ্ঞান গ্রহণ করবে এটি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশ্ন রাখে অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক মোঃ আতাউর রহমানের মন্তব্য জানার জন্য তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।