ভারত বিভক্তির নেতৃত্ব দানকারী একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা, মুসলিম জাতিসত্তা রাজনীতির প্রাণপুরুষ, কার্যত উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক গুরু নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহর জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্তি সময়ের জোরালো দাবী। কোমলমতি শিশু–কিশোররা তার জীবনী পাঠ করে একদিকে যেমন জাতির শেকড়ের সন্ধান পাবে অপরদিকে এই মহপ্রাণ ব্যক্তির জীবনী তাদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
নিপীড়িত বাঙ্গালী মুসলমানের মুক্তিদূত, এ অঞ্চলের অবহেলিত বিশাল জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষা প্রসারের অগ্রনায়ক, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অগুনতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা– ভূমি দাতা, আধুনিক ঢাকার রূপকার, দানবীর, সমাজ সংস্কারক ইত্যাদি জনকল্যাণকর কর্ম বহুল জীবনের পরও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নবাব সলিমুল্লাহ আজ উপেক্ষিত, অবহেলিত। মুসলিম জাতীয়তাবাদের জায়গায়, ধর্মনিরপেক্ষতাকে ডালপালা মেলে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়ার ঘৃণ্য পরিকল্পনা থেকেই নবাব সলিমুল্লাহকে ধারাবাহিক ভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সরকারী উদ্যোগে নবাব সলিমুল্লাহর জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং পাঠ্য বইয়ে নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ঘৃণ্য অশুভ পরিকল্পনার ইতি টানতে পারে।
নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে আজ ১৬ জানুয়ারিসকাল ১০.০০টায় ঢাকার বেগম বাজারে অবস্থিত নবাব পরিবারের পারিবারিক কবরস্থানে নবাব সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত ও পবিত্র ফাতেহা পাঠ শেষে উপস্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলীয় মহাসচিব প্রবীণ রাজনীতিবিদ কাজী আবুল খায়ের উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহ সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, নবাব পরিবারের সদস্য খাজা ইমরান, সলিমুল্লাহ একাডেমীর সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার ও সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, কেন্দ্রীয় নেতা খাইরুল আলম, মো. মাকসুদ, যুব মুসলিম লীগ নেতা মো. আলী জিন্নাহ মানিক, মো, ইয়ামিন খান, শফিকুল ইসলাম মানিক, মো. আবু রায়হান, শহিদুল আলম মিরাজ, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।