নগরীর কোথাও কোন রাস্তা কাঁচা বা অর্ধ পাকা থাকবে না

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী পরিকল্পনা অনুয়ায়ী চট্টগ্রামের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, এলইডি দ্বারা আলোকায়ন ব্যবস্থা, পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, নগরীর কোথাও কোন রাস্তা কাঁচা বা অর্ধ পাকা থাকবে না। বর্তমান নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদকালে দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের জন্য যা-যা উন্নয়ন প্রয়োজন তা করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। নগরীর উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার ২ হাজার ৫শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। চসিকের এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর দৃশ্যই পাল্টে যাবে। তিনি আরো বলেন, ফইল্ল্যাতলী বাজারের মানুষ এই সড়কটির জন্য দীর্ঘদিন কষ্টভোগ করেছেন আজকে এই সড়কটির সংস্কার কাজের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে। আজ রবিবার সকালে ফইল্ল্যতলী বাজার রোড উদ্বোধন কালে মেয়র একথা বলেন।
দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি, আওয়ামী লীগ নেতা মো. এরশাদুল আমিন, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন সওদাগর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন, রাজনীতিক নোয়াব আলী, নুরুজ্জামান সান্টু প্রমূখ।
মেয়র আরো বলেন, যে সকল রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে সেখানে নতুন করে কর্তন করার অনুমতি দেয়া হবে না। তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিটিসিএলসহ সেবা প্রকল্পসংস্থা সমুহকে চসিকের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া রাস্তা খোড়াখুঁডির কাজ না করার আহ্বান জানান। এছাড়া অনুমোদন ছাড়া রাস্তা খোড়াখুঁডি করলে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ফইল্ল্যাতলী বাজার থেকে নয়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি এলাকাবাসির প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার করা হয়েছে। ফইল্ল্যাতলী বাজারকে একটি অত্যাধুনিক কিচেন মার্কেটে রূপান্তর করে এলাকাবাসির চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। মেয়র বলেন, উন্নয়ন করলেই শুধু হবেনা এর রক্ষনা-বেক্ষন করা সকলের নাগরিক দায়িত্ব। নিজ দায়িত্বে নগরীকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি গৃহকর নিয়ে কিছু মহলের বিভ্রান্তিমুলক অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি নির্বাচনের সময় যে অঙ্গীকার করেছিলাম তা থেকে এখনো সরে আসিনি। তিনি বলেন, গরীব অসহায় নাগরিকের মধ্যে অসমর্থ ব্যক্তিদের উপর কর আরোপ করা হবেনা এবং ২০১৭ সালের কর মূল্যায়নের উপর যে সব করদাতা অযৌক্তিক হয়েছে বলে মনে করেন তাদেরকে পূর্বের বকেয়া গৃহকর পরিশোধ করে আপিল করার আহ্বান জানান। এবং নগরবাসীকে এক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। আপিলে কোন করদাতা অসন্তুুষ্ট হলে এ বিষয়ে সরাসরি মেয়রকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

0Shares

নিউজ খুজুন