নগরবাসীকে নগর জামায়াত আমীরের ঈদ শুভেচ্ছা

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তায় মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, কুরআন নাজিলের মাস পবিত্র রমাদান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে। মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়ার গুণাবলি সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর বিধান মেনে চলার দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের মাঝে আগমন করেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার সমাপনী অনুষ্ঠান হলো ঈদুল ফিতর। জাতি এমন এক মুহূর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন দেশ ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মানুষ মুক্ত পরিবেশে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে এবং শান্তিতে-স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে। এহেন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত আনন্দের সাথে আমি প্রিয় চট্টগ্রাম মহানগরীবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মোবারক।

তিনি বলেন, ঈদ মুসলমানদের জীবনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। আমাদের জাতীয় জীবনেও ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অপরিসীম। ঈদের উৎসবে মুসলিম উম্মাহ শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বিশ্ব গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করে। রমাদানের দাবি হলো কুরআনের আলোকে একটি তাকওয়া ভিত্তিক ইসলামী সমাজ কায়েম করা। রাসূল (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আদলে একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ সেখানে সত্যিকারভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

তিনি বলেন, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তারা বিদেশে বসে এবং দেশে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা তাদের দোসরদের দিয়ে দেশে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেই যাচ্ছে। দেশে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হতে পারে সেজন্য নানাভাবে বিতর্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই সাথে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং দেশবিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবিক বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

 পবিত্র ঈদের এই দিনে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে দয়া, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য, ঐক্য ও ভালোবাসার এক মহা সেতুবন্ধন তৈরি করি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গঠনে তৎপর হই এবং সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসি ও একে অপরের সুখানন্দ এবং দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নিই।

প্রিয় দেশবাসীর ভালবাসায় সিক্ত সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর পক্ষ থেকে আমি চট্টগ্রামবাসীর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবন কামনা করছি। সেই সাথে আমি সবাইকে আবারো আন্তরিকভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।

0Shares

নিউজ খুজুন