দেশের খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক : খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। এবছর দেশে বোরো আবাদ যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি আমনও যদি ভালো হয় তাহলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে না।

উপদেষ্টা আজ পটুয়াখালীর সার্কিট হাউসে চলতি মৌসুমের বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মজুত ও বিতরণ বিষয়ে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সাড়ে তিন লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষককে মূল্য সহায়তা দেওয়ার জন্য গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি করে ধান ৩৬ টাকা এবং চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে। ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বোরো মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু হয়েছে এবং এ সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তিনি জেলার খাদ্য সংগ্রহ এবং বিতরণে জেলা প্রশাসকগণকে নিবিড়ভাবে তদারক করার জন্য নির্দেশনা দেন।

খাদ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, সরকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে খাদ্য নিশ্চিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভরতুকিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাদ্য ভরতুকিতে বরাদ্দ রয়েছে ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া, সরকার ওএমএস  এবং টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। আগামী অর্থবছরে এসব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বছরে পাঁচ মাস চালু আছে, আগামী অর্থবছর থেকে পাঁচ মাসের স্থলে ছয় মাস চালু থাকবে। এছাড়া, দুর্যোগপ্রবণ জেলা হিসেবে পটুয়াখালী ও বরগুনাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য সরবরাহ চ্যানেল নিরবচ্ছিন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলার বোরো মৌসুমে ধান ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন এবং চাল ৫ হাজার ৬৯৫মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বরগুনা জেলার বোরো মৌসুমে ধান ৫০০ মেট্রিক টন এবং চাল ১ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫০০ মেট্রিক টন ধান এবং ১ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, বরগুনা জেলার ছয়টি এলএসডির ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন।

পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ডিসি ফুডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

নিউজ খুজুন