জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ¦ান জানিয়ে এক্টিভিস্টা চট্টগ্রামের যুবরা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখ প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ সকাল ৯টায় র্যালি এবং মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, গ্লোবাল প্লাটফরম বাংলাদেশের কৌশলগত পরামর্শে এবং ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম এর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক্টিভিস্টা চট্টগ্রামে এর যুবদের এই কর্মসূচি নগরীর জামালখান মোড় হতে র্যালীর মাধ্যমে চেরাগী পাহাড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব পর্যন্ত এস মানবন্ধনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। র্যালী ও মানবনন্ধনে যুবদের হাতে প্রদর্শিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো, ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ, ফান্ড আওয়ার ফিউচার, পে আপ ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ, পে আপ ফর ক্লাইমেট ফাইনান্স, চিজ ফায়ার নাও, ক্লাইমেট জাস্টিস রাইট হিয়ার রাইট নাও, প্লাস্টিক ব্যাগকে না বলি প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহার করি, জলবায়ু সুবিচার চাই ইত্যাদি। বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সঙ্গে এইসময় একাত্মতা জানিয়ে এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহন করেন। এ সময় তারা জলবায়ুর সুবিচার চাই, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করো, ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ চাই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সহ নানা দাবী উত্থাপন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাতে প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে তার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাদের পুঁজিবাদী মনোভাবের কারণে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে। যুব জলবায়ু এক্টিভিস্ট আব্দুল মান্নান জিহাদ তার বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা সকলে এই ক্লাইমেট স্ট্রাইকে একত্রিত হয়েছি, জানিনা আমরা আর কতবার একত্রিত হব,তবে আমরা এর একটা সুবিচার চাই। যুব জলবায়ু এক্টিভিস্ট জাবির বিন সোলাইমান তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ুর সুবিচার আমাদের জন্য না হোক, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুব বেশি দরকার। আমরা প্রতিবারই দেখি পৃথিবীর জলবায়ু ঝুকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ এর মধ্যে থাকে। তাই এখনই সময় আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতন হওয়ার এবং ক্লাইমেট ফাইনেন্স নিয়ে ভাবার। উন্নয়ন আমরা সবাই চাই, কিন্তু পৃথিবীর ক্ষতি করে উন্নয়ন আমরা চাইনা। উন্নত দেশগুলোর আরও বেশি উন্নয়নের কারনে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাই জলবায়ুর ক্ষতিপূরণ চেয়ে আমাদের এই দাবি উন্নত বিশ্বের কাছে।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের আওতাধীন একটিভিস্টা বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম এবং ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম এর আওতাধীন ৬ টির অধিক যুব সংগঠনের তিনশতাধিক তরুণ চট্টগ্রামের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সারা দেশব্যাপী একযোগে। এই বছর যুবরা টেকসই প্রকল্প, পুনর্বীকরণযোগ্য শক্তি এবং কৃষি বাস্তু সংস্থান সংক্রান্ত হস্তক্ষেপে অর্থায়নের পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করার আহ¦ান জানিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে যে জলবায়ু সংকট সমাধানের জন্য তাদের ক্রমাগত দাবি জলবায়ু ন্যায়বিচার অর্জনের ক্ষেত্রে আগামী প্রজন্মের জন্য বিশ্বকে গঠন করবে।