জাপানের সাথে ৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে প্রায় ৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত SAIDA Shinichi ও জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ICHIGUCHI Tomohide এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। জাপানের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের ২য় ব্যাচের আওতায় ‘Food Safety Testing Capacity Development Project ও ‘Matarbari Ultra Super Critical Coal-Fired Power Project (VIII)’ প্রকল্পের জন্য এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকায় ১টি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, অফিস, প্রশিক্ষণ ভবন এবং চট্টগ্রাম ও খুলনায় ২টি বিভাগীয় পরীক্ষাগারসহ অফিস ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে ‘Food Safety Testing Capacity Development Project’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২৪০৯.৭০ কোটি টাকা (জিওবি ৩৯০.৭৮ কোটি টাকা ও জাইকার প্রকল্প ঋণ ২০১৮.৯২ কোটি টাকা)। বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৫ হতে ডিসেম্বর ২০৩৪ পর্যন্ত। ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (২য় ব্যাচ) এর আওতায় প্রকল্পটির জন্য ২৮,৬৯৯ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ১৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রদান করা হবে। অগ্রাধিকারমূলকভাবে প্রকল্পটির ঋণের সুদের হার ১.৮৫%, পরামর্শকের জন্য ০.৫৫%, Front End Fee (এককালীন) ০.২০% । ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর  (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)।

বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ‘Matarbari Ultra Super Critical Coal-Fired Power Project’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫৬,৬৯৩.৯০ কোটি টাকা (জিওবি ৭,২২১.১৯ কোটি, জাইকার প্রকল্প ঋণ ৪৭,৯৪৫.০৩ কোটি, সিপিজিসিবিএল ১,৫২৭.৬৮ কোটি)। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৬। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৯২ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। জাইকা পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করছে।  ইতঃপূর্বে ৭টি পর্যায়ে মোট ৬৫৫,৩১০ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (২য় ব্যাচ) এর আওতায় ৮ম পর্যায়ে জাপান সরকার ৫৭,১২০ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ৩৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ১.৯৫%, পরামর্শক সেবার জন্য ০.৫৫%, Front End Fee (এককালীন) ০.২%। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্য খাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে।

0Shares

নিউজ খুজুন