মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত স্বল্পোন্নত এবং অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা জোরদার করা, যাতে অত্যধিক কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ুর যে অভিঘাত তা নিরসনে পরিবেশবাদী-সহ সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সরকারিভাবে জলবায়ুর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা যায়। তিনি বলেন, বনায়ন, জলাভূমি রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, টেকসই কৃষি রক্ষা-সহ সমাজে নারীর যাবতীয় বিপর্যয় রক্ষার জন্য জলবায়ুর ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ আগারগাঁও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর অডিটোরিয়ামে দু’দিনব্যাপী জলবায়ু ন্যায্যতা ঘোষণা পত্র- ২০২৪ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, জলবায়ু ফাউন্ডেশনের উপ আঞ্চলিক পরিচালক সাইনান হাগটন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট্ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক লিডি ন্যাকপিল এবং এ সম্মেলন কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব শরীফ জামিল।
এস মুরশিদ বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে জলবায়ুর ন্যায্যতার জন্য লড়াই করতে এবং একটি শক্তিশালী জলবায়ু আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশের ব-দ্বীপ উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জনগণ জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।