স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে।ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে; কিন্তু তাদের দোসররা দেশে বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রক্ষিতে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী এসব অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীসমূহের সমন্বয়ে গত ০৮ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখ হতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে “দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ” বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় “অপারেশন ডেভিল হান্ট” এর সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত ‘জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার’ এর মাধ্যমে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এ অভিযান পরিচালনায় সমন্বয় করছেন।
জুলাই- আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতিকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় এসকল অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।