জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, কোনো গোপন দরজা বা বিদেশি দূতাবাসনির্ভর রাজনীতি করবেন না। আমরা জনগণের মধ্যেই থাকব, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই এগোবো। জনগণই আমাদের সরকারে বসাবে। বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণের মতামত যাচাইয়ের জন্য গণভোট আয়োজন করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা ও নতুন সংস্কার প্রক্রিয়া যাচাই করা গেলে পরবর্তী নির্বাচন আরও স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সব উপদেষ্টাকে শহীদ মিনারে গিয়ে জনগণের সামনে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশে তার আর কোনো এক্সিট প্ল্যান নেই। যেহেতু জনতা আপনাকে ক্ষমতা দিয়েছে, আপনি এখন জনগণের সামনে যাবেন—জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন। আপনি শহীদ মিনারে যাবেন, সব আহতকে ডাকবেন, সব শহীদের পরিবারকেও ডাকবেন; তাদের ডেকে বলবেন তোমাদের রক্তের ওপরে আমি বসেছিলাম, আজকে আমি আদেশের মাধ্যমে তোমাদের যে পাওনা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি আজকে সাইনের মধ্যে তোমাদের এটা বুঝিয়ে দিচ্ছি। এটা ছাড়া ড. ইউনূসের বাংলাদেশে আর কোনো এক্সিট প্ল্যান নেই।
আগে গণভোট দিন জনগণ নিজের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্ধারণ করুক। ৩০০ আসনে আজও গডফাদারদের রাজনীতি চলছে, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারে না। গণভোটের মধ্য দিয়েই জনগণের আসল মতামত জানা যাবে। সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন না হলে দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। আপনারা লন্ডন, ওয়াশিংটন বা বেইজিং দৌড়াবেন না, ঢাকাই হবে দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্র।
শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, শিক্ষক, শ্রমিক ও সাধারণ সৈনিকদের সম্মানজনক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা দাবি করেন। ‘এরা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড, তাদের দাবি পূরণ করতে হবে।