চট্টগ্রাম পিআইডির উদ্যোগে কক্সবাজারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি চট্টগ্রামের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় “তারুণ্যের ভাবনায় বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের গুরুত্ব” শীর্ষক মতবিনিময় সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোঃ সাঈদ হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন আহমেদ। চট্টগ্রাম পিআইডির তথ্য অফিসার জি. এম সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, ওমর ফারুক, ইশরাক মাহমুদ, বেদারুল আলম, শাহেদ মিজান, মাহমুদুর রহমান মাসুদ, শামসুল হক সারেক, শাহিনসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধিবৃন্দ। সাংবাদিকরা বলেন, অনলাইন পোর্টালে যেসব মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করা হয়-ফ্যাক্ট চেক করার মাধ্যমে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজীকরণ করতে হবে। আইপি টিভি, ফেসবুক ব্যবহার করে মাঠ পর্যায়ের নিউজ করার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তারা সাংবাদিকতা নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়ন এবং সাংবাদিক হওয়ার ক্ষেত্রে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে সার্টিফিকেট নেয়াসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। সাংবাদিকগণ পিআইডির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিক প্রশিক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো গণমাধ্যম বান্ধব হওয়ার সুপারিশ তুলে ধরেন।

সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই জন প্রতিনিধি বিগত জুলাই আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আদর্শের উর্ধ্বে উঠে জনবান্ধব ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মতাদর্শ মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষের জীবনে শব্দ ও বাক্য গভীর প্রভাব ফেলে। শব্দ দিয়ে মানুষের মনকে দৃঢ করা যায়। শব্দের শক্তি হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই সাংবাদিকদের শব্দ চয়নে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখতে হবে- আপনার একজনের লেখনি দেশের ১৮ কোটি মানুষ বিচার করছে। এজন্য যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সত্য ও বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চা জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে সমাজে ডিজিটাল ডিভাইডেড সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারছেন, অনেকে পারছেন না। তাই গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলকে এ প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় উপপ্রধান তথ্য অফিসার বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের মেধাবি সন্তানদের জন্য বৃত্তি প্রদানের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনায় রেখেছে।

সভার শুরুতে জুলাই-আগস্ট শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সমন্বয়কসহ প্রায় ৬০ জন অংশ নেন।

0Shares

নিউজ খুজুন