ইউনিট সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে বিরোধে জড়িয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে রাজধানীতে বসার সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম নগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। ১৬ জানুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দলীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় হাজির কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতারা শুরুতেই চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ইউনিট সম্মেলনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের আনা বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসব অভিযোগের বিপরীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। নগর আওয়ামী লীগের কমিটির সকলে মিলে বসে সম্মিলিতভাবে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। এ সময় ইউনিট সম্মেলন শেষে নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্য থেকে ৩-৪ জন করে প্রত্যেক থানায় আলাদা করে টিম করে সম্মেলনের কাজ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সভা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
সভায় রিভিউ কমিটির গঠন করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে প্রধান সমন্বয়ক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নঈম উদ্দিন চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সদস্য করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, নগরের বন্দর আসনের সাংসদ এমএ লতিফ, কোতোয়ালী আসনের সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সহ সভাপতি এডভোকেট সুনীল সরকার, জহিরুল আলম চৌধুরী দোভাষ ডলফিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।