কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আছাদগঞ্জের শ্রমিক

চট্টগ্রাম মহানগরীর বৃহত্তর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কোরবানিগঞ্জ ও আছাদগঞ্জের পণ্য লোড-আনলোডিং শ্রমিকদেরকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। আজ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ইংরেজি সোমবার দুপুর ২টায় সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তদারকি করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজ উল্ল্যাহ’র সভাপতিত্বে ও সরকারী গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ এয়াছিন চৌধুরী বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিকদের ৩ দিনব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বৃহত্তর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কোরবানিগঞ্জ ও আছাদগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ চৌধুরী বাহাদুর। উদ্বোধনী দিনে ১ হাজার শ্রমিককে অ্যাস্ট্রোজেনেকার ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২ মাস পর তাদেরকে ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সরকারী গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহযোগিতায় আগামীকাল ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর আরও ২ হাজার শ্রমিককে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনায় উদ্যোগ নিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহম্মদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব জামাল হোসেন, চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ বেলাল, বৃহত্তর চাক্তাই চট্ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী আব্বাছ, বৃহত্তর শাহ আমানত সেতু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম, বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, সুমন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ সুমন প্রকাশ সুমন হিজড়া, সরকারী গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ এয়াছিন চৌধুরী বিটু। বৃহত্তর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কোরবানিগঞ্জ ও আছাদগঞ্জের পণ্য লোড-আনলোডিং সাধারণ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, পণ্য লোড-আনলোডিং শ্রমিকরা সুরক্ষিত না থাকলে ব্যবসায়ী মালিক পক্ষ সুরক্ষিত থাকবেনা, দেশের অর্থনীতির চাকাও সচল থাকবেনা। সরকারের নির্দেশনায় তাদের প্রত্যেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই বা থাকলেও কোন কারণে সুরক্ষা অ্যাপ্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নির্দিষ্ট কার্ডে লিখে প্রথম দিন ১ হাজার শ্রমিককে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মনে আছে তাদের নম্বর ঐ কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দু’দিনে আরও ২ হাজার পরিবহন শ্রমিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও কারাবন্দীসহ পিছিয়ে থাকা অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও তারা আমাদের সমাজেরই মানুষ। ভ্যাকসিন দেয়া থাকলে করোনার ঝুঁকি অনেকটা কম। করোনা ও ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে হলে পর্যায়ক্রমে সবাইকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আসতে হবে। নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ সামজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। জমাসমাগম ঘটে এমন সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে।

0Shares

নিউজ খুজুন