নিজস্ব প্রতিবেদক : আধিপত্য বিস্তার ও ভূমিদুস্য সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে এ যেন এক ত্রাসের রাজত্বের নাম হয়ে উঠেছে সুমন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলার অন্তগর্ত রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা গ্রামের এই সুমন চৌধুরীর বিভিন্ন অনিয়ম, জমিদখল, মানুষের ওপর মানসিক নির্যাতন, হুমকি ও উপাসনালয় দখল সহ বিভিন্ন অপকর্মে অতিষ্ঠ স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
পশ্চিম গুজরা গ্রামে জোরপূর্বক অন্যের বাড়িঘর দখল ও নিজের ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেন। ধর্ম মন্ত্রনালয় থেকে মন্দির নামের বরাদ্দকৃত অর্থের টাকা আত্মসাৎ, অন্যের জমি দখল করে মন্দির বানানোর পাঁইতারা করে এই সুমন চৌধুরী। পারিবারিকভাবেও সেই নিজের মায়ের একাউন্ট হইতে টাকা আত্মসাৎ ও প্রথম স্ত্রীকে নায্য পাওনা না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়া এবং জমি ক্রয় বিক্রয়কালে ফোন দিয়ে চাঁদা আদায় ও চাঁদা পাওয়া না গেলে ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে দেওয়াও তার রীতি নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সেই নিজের ক্ষমতার ধাপটে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে তার লোকবল দিয়ে গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা এবং প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে অযথা হয়রানি করা তার প্রধান কাজ।
উল্লেখ্য যে, পশ্চিম গুজরা গ্রামের মৃত সমীর চৌধুরী ও ডলি চৌধুরীর পুত্র সুমন চৌধুরী। সেই খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নিবার্হী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন দুর্নীতি সহ অনিয়মে জড়িত ছিল।