ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ সরকার উন্নয়নের ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষকে। বিদ্যুতে লোডশেডিং করবেন আর উন্নয়নের কথা বলবেন। উন্নয়নের ট্যাবলেট বেশি দিন খাওয়ানো যাবে না।” ‘‘ উন্নয়নের ট্যাবলেট খাইতে খাইতে এখন শ্রীলংকা বমি কইরা দিছে, শ্রীলংকা কিন্তু এখন উন্নয়নের ট্যাবলেট খায় না। সেখানে খালি উন্নয়ন বলতে বলতে সব শেষ করে দিয়ে এখন চাকুরি-বাকুরি গোল কইরা দেশের রাষ্ট্রপতি ভাইগা চইলা গেছে সিঙ্গাপুরে। আপনাদের যাওয়ার জায়গা আছে অবশ্য। ঠিকানা বলতে হবে না, আপনার ঠিকানাই আগেই করা আছে।”
তিনি বলেন, ‘‘ সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগামীকাল থেকে লোড শেডিং শুরু হচ্ছে। ওইদিন বললেন যে, জনগনের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। কুইক রেন্টাল দিয়ে আপনারা বিদ্যুত দিয়েছেন, বিদ্যুতের আর অভাব নাই। এখন আবার বলছেন উল্টো কথা- লোড শেডিং করতে হবে। তাহলে এতো টাকা দিয়ে কুইক রেন্টাল কেনো করলেন?” ‘‘ যেই কারণে বিদ্যুত নাই। যারা কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রের মালিক তারা কিন্তু বসে বসে টাকাটা পাবেন, বিদ্যুত থাকুক বা না থাকুক, বসে বসেই টাকা পাবে তারা। এখন আমাদের প্রশ্ন তাহলে এতো টাকা নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়া প্ল্যান্ট কেনো করা হলো? এতো টাকা নিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে কেনো সুন্দরবনের রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র করা হচ্ছে?” ‘‘ বিদ্যুত খাতে কুইক রেন্টালের নামে এতো চুরি করার পরেও যদি লোড শেডিং হয় আমার তো মনে হয় এই লোড শেডিংই সরকারের ক্ষমতা ত্যাগের কারণ হতে পারে। এভাবে মানুষ কিন্তু অসহিষ্ণু হচ্ছে, সাধারণ মানুষ অসহিষ্ণু হচ্ছে।”‘‘ আজকের পত্রিকায় দেখলাম একটি খবর- ‘তলোয়ার নিয়ে আসলে রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে’। এই যে নির্বোধ ব্যক্তি(কাজী হাবিবুল আউয়াল)। আগে তো ছিলো ছাগল নুরুল হুদা(কে এম নুরুল হুদা), এটা একটা পাডা একটা, এনার (কাজী হাবিবুল আউয়াল) কোনো বুদ্ধিসুদ্ধি নাই।” ‘‘ তলোয়ার-রাইফেল। আরে ভাই, তলোয়ার তো অনেক আগে চলে, সেই অটোম্যান সামাজ্যের পরে তো আর তলোয়ার আসে নাই। আপনি তলোয়ার কোত্থেকে আবিস্কার করলেন? তলোয়ার আনবে কে? রাইফেল হাতে নেবে আনবে ? এটা উনাকে ঠিক করতে হবে। উনি কী রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারবেন? সেটাও তো পারবেন না। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- এরকম এই নির্বাচন কমিশন, এই ফালতু নির্বাচন কমিশনের অধিনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না।” ‘‘ সংসদ ভাঙতে হবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ভাবে গঠন করতে হবে। তারপরে নির্বাচন হবে।”