বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের লড়াই আরও বেগবান হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই লড়াই অতি অল্প সময়ের মধ্য দিয়ে এক দুর্বার গণআন্দোলনে পরিণত হবে। রাজপথেই ফয়সালা হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় সবাই। বন্দি অবস্থায় হাসপাতালে আছেন তবুও তিনি মাথা নত করেননি এই সরকারের কাছে। আমরা বিশ্বাস করি, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্তি করতে সক্ষম হব। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সক্ষম হব। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই-এটা হচ্ছে আমাদের এক নম্বর কথা। কেন মুক্তি চাই? কারণ তিনি হচ্ছেন একমাত্র নেত্রী যিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নয় বছর আপসহীন সংগ্রাম করেছেন। উড়ে এসে জুড়ে বসে প্রধানমন্ত্রী হননি, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হয়েছেন। তার চিকিৎসকরা বলছেন যে, তাকে বাইরে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আমলারা এখন আকাশে উঠে গেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পার্লামেন্টে বিরোধী দল বলতে কিছু নেই। রাজনৈতিক নেতা, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন তাদের কোনো মূল্যই নেই। একজন ওসি সরাসরি বলেন, ‘আপনারা কে? আপনাদের তো আমরাই বানিয়েছি।’ অর্থাৎ রাজনীতিটা পুরোপুরিভাবে সরিয়ে দিয়ে একটা আমলাতান্ত্রিক-সামরিক আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন চালু করার ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধান ভূমিকা কে পালন করেছে? এইচটি ইমাম, তিনি পুরোপুরিভাবে একজন আমলা। তাকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সব আমলাদেরকে একজায়গায় করে এই ফলাফল নিতে হবে। আমরা যারা নির্বাচন করেছি খুব ভালো করে জানি, এর প্রধান ভূমিকায় ছিল পুলিশ, যারা মাঠে নেমে কাজটা করেছে। এমনকি বিচারালয়কে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। যারা মনোনয়ন পেলেন, অনেকের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেল। তখন নির্বাচন কমিশনে গেলেন, সেখানে না পেয়ে হাইকোর্টে গেছেন। হাইকোটও সরকার যা চেয়েছে ঠিক সেটাই করেছে। ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নিয়েই তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনটা করেছেন।