নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৫ জানুয়ারি আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানীর ফটিকছড়ি জোনের ডিলার অজ্ঞাতনামা কতিপয় ডাকাত দল দোকানটি ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে ডাকাত দল উক্ত দোকান হতে প্রায় ১ লাখ আবুল বিড়ি, ৭৮ হাজার ম্যারিজ সিগারেট, ২ লাখ টাকা এবং ২টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানীর ফটিকছড়ি জোনের ডিলার চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৬, তারিখ ১৩ জানুয়ারি ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০।
ভুজপুর থানা পুলিশ আলাউদ্দিন ও রিপন নামে দুজন ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের কাছ থেকে আরও কয়েকজন ডাকাত দলের সদস্যের তথ্য পায়। এ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য ভুজপুর থানা পুলিশ কর্তৃক র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অনুরোধ করে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং, হালিশহর এবং কুমিল্লা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ৭৮০০ মেরিজ সিগারেট এবং নগদ ৩৬,০০০ টাকা উদ্ধারসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের লিডার আসামী মোঃ মামুন(৩৪), পিতা-মৃত. হাসমত আলী, সাং-বেলানগর, থানা-দাউদকান্দী, জেলা-কুমিল্লা এবং তার অপর ৩ সহযোগী মোঃ আলী(৩৮), পিতা-মৃত. হাসমত আলী, মাতা-সাজিয়া বেগম, সাং-বেলানগর, খন্দকার বাড়ী, থানা-দাউদকান্দী, জেলা-কুমিল্লা, মোঃ এনায়েত উল্লাহ শান্ত(২৮), পিতা- মোঃ শাহজাহান, সাং-পশ্চিম বাগিচাগাঁও, থানা-কোতায়ালী, জেলা-কুমিল্লা এবং মোঃ রাসেল(২৫), পিতা-মৃত. ঝারু মিয়া, সাং-বেলানগর, থানা-দাউদকান্দী, জেলা-কুমিল্লাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে তারা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা বর্ণিত মামলার ঘটনাস্থলে নাইট গার্ড এর হাত-মুখ বেধে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।