বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারও দল গোছানোর জন্য সময় দরকার হতে পারে। কারও বন্ধু জোগাড় করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সে কারণে জনগণের ভোট দেওয়ার যে মৌলিক মানবাধিকার বিলম্বিত হবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেছেন, একটি দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। রাজনৈতিক সরকারের সেটি মোকাবিলা ও সমাধানের জন্য কোনো বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি বোঝে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে মাওলানা মতিনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিপূর্ণ সংস্কারের পক্ষে বিএনপি। তবে সংস্কার একবারে শেষ করার বিষয় নয়। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে এটি হবে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। ঐকমত্যে যদি আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে বাধা কোথায়?’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বলেছে, তারা জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে। ফলে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট গ্রহণে কোনো বাধা নেই।
দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। অনেক তরুণ আছেন, যাদের বয়স কম, কিন্তু ভোটার হয়েছেন অনেক দিন আগে—তবুও আজ পর্যন্ত তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। তারা সেই অধিকার প্রয়োগ করতে চান। রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজেদের মতামত জানাতে চান। এটি তাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অধিকার। এই অধিকার অর্জনের জন্যই হাজার হাজার মানুষ কারারুদ্ধ হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
কাউকে সুযোগ দিতেই নির্বাচন পেছানো হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষ। অনেক আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো এক দফা দাবি জানিয়ে আসছিল।