অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবু সাঈদসহ অন্যান্যদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ রেখে এগিয়ে যাওয়া সকলের দায়িত্ব। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের।’ আবু সাঈদ ও অন্যান্যদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আবু সাঈদ শুধু একটি পরিবারের নন, তিনি বাংলাদেশের সব পরিবারের সন্তান।’ অধ্যয়নরত তরুণ-তরুণীরা আবু সাঈদকে স্মরণ রাখবে এবং তার মতো হওয়ার অঙ্গীকার করবে। তারা বলবে-আমিও আবু সাঈদের মতো ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করব। ‘তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সন্তান।’
অধ্যাপক ইউনূস সকলকে যে কোন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার এবং কেউ যেন কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ এখন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ। ‘এই বাংলাদেশ আবু সাঈদের বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য নেই, আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ- সবাইকে রক্ষা করুন, সেখানে যেন কোনো নৈরাজ্য না হয়।’
পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে পৌঁছে সাঈদের কবর জিয়ারত ও শহিদ আবু সাঈদের বাড়িতে যান এবং তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেন। তিনি সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।
রংপুর সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।